এনসিপির মতো দল কিভাবে ৩ নম্বর পজিশন নেয়?: রাশেদ খান

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘এনসিপির মতো দল কিভাবে আসলে এই তিন নম্বর পজিশনটা নিয়ে নেয়। তারা যেহেতু শুরু থেকেই সরকারের কাছে নানাভাবে প্রায়োরিটি পাচ্ছে। এ জন্য এই প্রতীক নিয়েও তারা যা চাচ্ছে, সেটিই দিতে হবে।’

 

সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশন টক শো অনুষ্ঠানে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।

 

রাশেদ খান বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সেখানে তিনটি দলকে সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং এই তিনটি দলের তিনজন করে সদস্যকে বৈঠকে রাখা হয়েছে। এই তিনটি দলের ৯ জনকে সামনে বসাতে হবে। অন্য দলগুলোর সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়। কখনো এই টেবিলে, কখনো ওই টেবিলে—যাতে প্রতিটি দলের একজন করে সামনে থাকে।

 

অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তিনজন করে সদস্য সব সময় সামনে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সফরে একই অবস্থা দেখা গেছে। প্রথমে বিএনপিকে গুরুত্ব দিয়ে দুজনকে নেওয়া হলো, এরপর এনসিপি এবং জামায়াত দাবি করল যে আমরা যাব না, আমাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তারা বলল, ঐকমত্য কমিশনে যেভাবে আমাদের সম্মান দেওয়া হয়, একই ধরনের সম্মান দিতে হবে। পরে সরকার বাধ্য হয়ে তাদেরও একজন করে সদস্য যোগ করল। অর্থাৎ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকে সমমূল্যায়ন করে জাতিসংঘ সফরে নেওয়া হলো।’

 

রাশেদ খান আরো বলেন, ‘এনসিপির মতো দল তারা কিভাবে আসলে এই তিন নম্বর পজিশনটা নিয়ে নেয়। যেহেতু শুরু থেকেই তারা সরকারের কাছে নানানভাবে প্রায়োরিটি পাচ্ছে। এ জন্য এই প্রতীক নিয়েও তারা চায় তারা যা চাচ্ছে, সেটি দিতে হবে।

 

আমি আগেই বলেছি শাপলার কলি দিয়ে হলেও এই বিষয়টা মীমাংসা করা দরকার। আমার কাছে মনে হয়, এনসিপিও এটা মেনে নেবে। মোটামুটি তারা শাপলা চায়, শাপলার কলিও শাপলার মতো দেখতে। এটা তাদের দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’

 

সেফ এক্সিট প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, “নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা কিভাবে থাকবে, যেখানে সরকারের ওপরই অনাস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই উপদেষ্টাদের নিয়োগকারীদের আমরা সবাই চিনি। সেই সময়কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যই এক ধরনের সংহতি দেখিয়ে এই উপদেষ্টাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছিলেন সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যিনি বর্তমানে এনসিপির আহ্বায়ক। হঠাৎ তিনি বললেন, সরকারের উপদেষ্টারা ‘সেফ এক্সিট’ চান। কিন্তু প্রশ্ন হলো—কোন উপদেষ্টা? দুজন ছাত্র উপদেষ্টা বাদে বাকিরা কী চান? নাকি এই দুজন ছাত্র উপদেষ্টাও এতে অন্তর্ভুক্ত? আমরা এখনো নিশ্চিত নই। বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে সিনিয়র বা বয়স্ক উপদেষ্টারা বলছেন, নাহিদ ইসলামকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। তারা জানান, আমরা কোনো অপরাধ করিনি, যা আমাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিতে বাধ্য করবে।

 

তিনি বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। আমি মজা করে তাদের বলছিলাম, ‘আপনারা কি লাগেজ-ব্যাগেজ গুছিয়ে নিয়েছেন, আপনাদের তো ‘সেফ এক্সিট’ দরকার।’ সেই অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামও ছিলেন। আমাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যক্তিরা বলছিলেন, এমনকি উপদেষ্টারা বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, যারা এই কথা বলছে, তাদেরই আগে ‘সেফ এক্সিট’ দরকার।”

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে, তা অনুযায়ী সিনিয়র উপদেষ্টারা দুর্নীতি করেননি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। তবে ছাত্র উপদেষ্টাদের বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে, এমনকি নাহিদ ইসলামের ক্ষেত্রেও কিছু অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট দরকার হতে পারে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর

» সালাউদ্দিনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

» সংস্কার আটকে গেলে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হবে: আখতার

» হাসপাতালে নেওয়া হলো তারেক রহমানকে

» আ.লীগ ও খুনী হাসিনার বিচার দেশের মানুষ করবে: মীর স্নিগ্ধ

» হেফাজত আমিরের দোয়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হুম্মাম কাদেরের

» সেনা আইন নয়, ট্রাইব্যুনালের আইনেই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হবে: প্রসিকিউটর তামিম

» অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি, আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সরকার

» নিবন্ধন পেতে তারেকের দল আপিল করতে পারে: ইসি সচিব

» ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারি: উপদেষ্টা আসিফ

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এনসিপির মতো দল কিভাবে ৩ নম্বর পজিশন নেয়?: রাশেদ খান

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘এনসিপির মতো দল কিভাবে আসলে এই তিন নম্বর পজিশনটা নিয়ে নেয়। তারা যেহেতু শুরু থেকেই সরকারের কাছে নানাভাবে প্রায়োরিটি পাচ্ছে। এ জন্য এই প্রতীক নিয়েও তারা যা চাচ্ছে, সেটিই দিতে হবে।’

 

সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশন টক শো অনুষ্ঠানে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।

 

রাশেদ খান বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সেখানে তিনটি দলকে সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং এই তিনটি দলের তিনজন করে সদস্যকে বৈঠকে রাখা হয়েছে। এই তিনটি দলের ৯ জনকে সামনে বসাতে হবে। অন্য দলগুলোর সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়। কখনো এই টেবিলে, কখনো ওই টেবিলে—যাতে প্রতিটি দলের একজন করে সামনে থাকে।

 

অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তিনজন করে সদস্য সব সময় সামনে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সফরে একই অবস্থা দেখা গেছে। প্রথমে বিএনপিকে গুরুত্ব দিয়ে দুজনকে নেওয়া হলো, এরপর এনসিপি এবং জামায়াত দাবি করল যে আমরা যাব না, আমাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তারা বলল, ঐকমত্য কমিশনে যেভাবে আমাদের সম্মান দেওয়া হয়, একই ধরনের সম্মান দিতে হবে। পরে সরকার বাধ্য হয়ে তাদেরও একজন করে সদস্য যোগ করল। অর্থাৎ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকে সমমূল্যায়ন করে জাতিসংঘ সফরে নেওয়া হলো।’

 

রাশেদ খান আরো বলেন, ‘এনসিপির মতো দল তারা কিভাবে আসলে এই তিন নম্বর পজিশনটা নিয়ে নেয়। যেহেতু শুরু থেকেই তারা সরকারের কাছে নানানভাবে প্রায়োরিটি পাচ্ছে। এ জন্য এই প্রতীক নিয়েও তারা চায় তারা যা চাচ্ছে, সেটি দিতে হবে।

 

আমি আগেই বলেছি শাপলার কলি দিয়ে হলেও এই বিষয়টা মীমাংসা করা দরকার। আমার কাছে মনে হয়, এনসিপিও এটা মেনে নেবে। মোটামুটি তারা শাপলা চায়, শাপলার কলিও শাপলার মতো দেখতে। এটা তাদের দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’

 

সেফ এক্সিট প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, “নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা কিভাবে থাকবে, যেখানে সরকারের ওপরই অনাস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই উপদেষ্টাদের নিয়োগকারীদের আমরা সবাই চিনি। সেই সময়কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যই এক ধরনের সংহতি দেখিয়ে এই উপদেষ্টাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছিলেন সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যিনি বর্তমানে এনসিপির আহ্বায়ক। হঠাৎ তিনি বললেন, সরকারের উপদেষ্টারা ‘সেফ এক্সিট’ চান। কিন্তু প্রশ্ন হলো—কোন উপদেষ্টা? দুজন ছাত্র উপদেষ্টা বাদে বাকিরা কী চান? নাকি এই দুজন ছাত্র উপদেষ্টাও এতে অন্তর্ভুক্ত? আমরা এখনো নিশ্চিত নই। বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে সিনিয়র বা বয়স্ক উপদেষ্টারা বলছেন, নাহিদ ইসলামকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। তারা জানান, আমরা কোনো অপরাধ করিনি, যা আমাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিতে বাধ্য করবে।

 

তিনি বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। আমি মজা করে তাদের বলছিলাম, ‘আপনারা কি লাগেজ-ব্যাগেজ গুছিয়ে নিয়েছেন, আপনাদের তো ‘সেফ এক্সিট’ দরকার।’ সেই অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামও ছিলেন। আমাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যক্তিরা বলছিলেন, এমনকি উপদেষ্টারা বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, যারা এই কথা বলছে, তাদেরই আগে ‘সেফ এক্সিট’ দরকার।”

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে, তা অনুযায়ী সিনিয়র উপদেষ্টারা দুর্নীতি করেননি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। তবে ছাত্র উপদেষ্টাদের বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে, এমনকি নাহিদ ইসলামের ক্ষেত্রেও কিছু অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট দরকার হতে পারে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com